‌Fact Check: ভারতে ভেজাল দুধ খাওয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তার ভাইরাল সংবাদপত্রের ক্লিপিং ভুয়ো

0 469

অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী একটি সংবাদপত্রের ক্লিপিং শেয়ার করে দাবি করেছেন যে প্যাকেটে আসা ভেজাল দুধের কারণে ভারতীয়রা ২০২৫ সালের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে চলেছেন। দাবি করা হয়েছে, এই তথ্যের উৎস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউ এইচ ও)।

সংবাদপত্রের নিবন্ধের শিরোনামটি হল: “पिशवीतील भेसळयुक्त दूधामुळे 87 टक्के भारतीय लोक 2025 पर्यंत कॅन्सर ने ग्रस्त होतील. WHO – गेल्या अनेक दिवसांपासून ही माहिती, जनतेपासून लपवून ठेवली आहे. आजच सावध व्हा!”(অনুবাদ: “ব্যাগে ভেজাল দুধের কারণে ২০২৫ সালের মধ্যে ৮৭ শতাংশ ভারতীয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন। ডব্লিউ এইচ ও অনেক দিন ধরে এই তথ্য জনগণের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছে। আজই সাবধান!”)

এই পোস্টের লিঙ্ক পাবেন এখানে ( here )।

FACT CHECK

নিউজমোবাইল এর সত্যতা যাচাই করেছে, এবং এটি জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

উপযুক্ত কিওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধান করার সময়, আমরা ডব্লিউ এইচ ও (  WHO ) দ্বারা জারি করা একটি পরামর্শ পেয়েছি যা ভাইরাল দাবিকে অস্বীকার করেছে। পরামর্শটিতে লেখা হয়েছে: “মিডিয়ার একটি অংশের প্রতিবেদনের বিপরীতে ডব্লিউ এইচ ও বলতে চায় যে তারা দুধ/দুগ্ধজাত পণ্যের ভেজাল ইস্যুতে ভারত সরকারকে কোনও পরামর্শ জারি করেনি।”

লোকসভায় (‌ Lok Sabha )‌ ২২ নভেম্বর, ২০১৯-এ ভারতে ভেজাল দুধের কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন সংসদ সদস্য বিদ্যুৎ বরণ মাহাতো এবং সঞ্জয় সদাভশিব রাও মন্ডলিক। প্রশ্নটি ছিল: “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউ এইচ ও) সম্প্রতি সরকারকে একটি পরামর্শ জারি করেছে যে বলেছে যে দুধ এবং দুধের পণ্যে ভেজাল অবিলম্বে পরীক্ষা করা না হলে ৮৭ শতাংশ নাগরিক শীঘ্রই ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।”

তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন: “ডব্লিউ এইচ ও দ্বারা ভারত সরকারকে এ জাতীয় কোনও পরামর্শ জারি করা হয়নি, এবং তা ভারতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি অফিস থেকে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফ এস এস এ আই)‌–কে জানানো হয়েছে। ”

ডাঃ বর্ধন যোগ করেন, “২০১৮ সালে এফ এস এস এ আই দ্বারা পরিচালিত দেশব্যাপী দুধের নিরাপত্তা ও গুণমান সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে শুধু ৭ শতাংশে (মোট ৬,৪৩২টি নমুনার মধ্যে ৪৫৬) দূষিত পদার্থ (অ্যান্টিবায়োটিক, কীটনাশক বা অ্যাফ্ল্যাটক্সিন এম১) ছিল, যা দুধকে খাওয়ার জন্য অ–নিরাপদ করে তোলে। ৬,৪৩২ নমুনার মধ্যে মাত্র ১২টিতে ভেজাল ছিল, যা দুধের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে। এই ১২টি নমুনার মধ্যে হাইড্রোজেন পারক্সাইডের দ্বারা দূষিত ছয়টি নমুনা, ডিটারজেন্টে দূষিত তিনটি নমুনা, ইউরিয়ায় দূষিত দুটি নমুনা এবং নিউট্রালাইজার দূষিত একটি নমুনা পাওয়া গেছে।”

১৮ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে বিজনেস টুডে (‌ Business Today  )‌ প্রকাশিত অন্য একটি প্রতিবেদন অনুসারে এফ এস এস এ আই দেখেছে যে দুধে ভেজাল এবং অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিকের অবশিষ্টাংশ দেশে একটি সমস্যা হিসাবে থেকে গেছে, যদিও ঘটনাগুলি যা ভাবা হয় তার তুলনায় অনেক কম হতে পারে।

সুতরাং, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে ভাইরাল দাবিটি জাল।