Fact Check: বিভিন্ন দেশের ছবি মিলিয়ে অসত্যভাবে তা সিরিয়ায় ‘‌‌মার্কিন উপস্থিতি’‌ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে

0 197

সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ছবির কোলাজ শেয়ার করা হচ্ছে। একটা ছবিতে একটা বহুতল বাড়ি দেখা যাচ্ছে, অন্যটায় একটা বাড়ি। দাবি করা হচ্ছে দুটো ছবিই সিরিয়ার, একটা সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঢোকার আগে, অন্যটা তার পরের।

ফেসবুকে ছবি শেয়ার করার সময় লেখা হচ্ছে, “বিফোর ইউএসএ, আফটার ইউএসএ – সিরিয়া”

এখানে ওপরের পোস্টের লিঙ্ক (‌ ) দেওয়া হল‌। এমন আরও পোস্ট দেখুন (‌ here and here )‌।

FACT CHECK

‌নিউজমোবাইল এর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে যে এই দাবি ভুয়ো।

প্রথম ছবি

রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা পৌঁছই অ্যালামি (‌ Alamy )‌ নামের একটি ফোটো স্টক ওয়েবসাইটে, যেখানে এই ভাইরাল ছবিটি ছিল। সেখানে বলা আছে ছবিটি সিরিয়ায় ২০১৭ সালে তোলা।

ছবির বর্ণনায় লেখা আছে, ‌“অতীতে বিরোধীদের দখলে থাকা হোম্‌স‌–এর জওরত আল–শায়া এলাকায় ধ্বংসের ছবি। হোম্‌স শহরটি সিরিয়ার মধ্যস্থলে এক সময়ে আসাদ–বিরোধী শক্তির ঘাঁটি ছিল।”

আরও সন্ধান করে আমরা দেখতে পাই ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি–র (‌ BBC )‌ ওয়েবসাইটেও ছবিটি আপলোড করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ছবিটি সিরিয়ার বাবা আম্‌র জেলার হোম্‌স শহরে বোমাবর্ষনের ছবি।

ওপরের তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে এই ছবিটি সিরিয়ার।

দ্বিতীয় ছবি

দ্বিতীয় ছবির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা দেখতে পাই অ্যালামি নামের (‌ Alamy )‌ ফোটো স্টক ওয়েবসাইটে এই ছবিটিও আছে। তার বর্ণনায় বলা আছে ছবিটি ২০১১ সালে নেওয়া হয়েছিল লেবাননের বেইরুট শহরে।

‌‌‌

বর্ণনায় বলা আছে, “২০১১ সালের ২৬ জুন বেইরুটের হামরা শহরের রাস্তা পার হচ্ছেন মহিলারা। মঙ্গলবার এক হেজবোল্লা সমর্থিত ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়, যার ফলে দেশের ক্ষমতার ভারসাম্য সিরিয়া ও ইরানের দিকে ঢলে পড়ে। তার প্রতিবাদে শত শত বিক্ষাভকারী টায়ার জ্বালান ও রাস্তা অবরোধ করেন।”

আমরা রয়টার্স–এর (‌ Reuters )‌ ওয়েবসাইটেও ছবিটি দেখতে পাই। সেখানে বলা ছিল ছবিটি বেইরুটের হামরা স্ট্রিটের।

এরপর আমরা বাড়িটি ঠিক কোথায় তা খুঁজতে গিয়ে দেখতে পাই (‌ found )‌ এটি লেবাননের বেইরুট শহরের একটি বাড়ি।

কাজেই বোঝা যাচ্ছে এই রাস্তাটি লেবাননের, সিরিয়ার নয়।

স্পষ্টতই দুটি দেশের ছবি মিলিয়ে অসত্যভাবে তা সিরিয়ায় ছবি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। অতএব ভাইরাল দাবি অসত্য। ‌