Fact Check:‌ পাকিস্তানে উচ্ছৃঙ্খল জনতার একটি মন্দির ভাঙচুরের ঘটনাকে অসত্যভাবে যুক্ত কর হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে

0 351
উচ্ছৃঙ্খল জনতার একটি মন্দির ভাঙচুরের ঘটনার ভিডিও (‌ video )‌ সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই দাবিসহ যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ পশ্চিমবঙ্গের একটি মন্দির আক্রমণ করেছেন।

ফেসবুকের (‌  Facebook ) পোস্টে বলা হয়েছে:‌‌ “रोहिंग्या मुस्लिम समुदाय की बस्ती के नजदीक का हिंदू मंदिर ,पश्चिम बंगाल, भारत,”

(‌অনুবাদ:‌ রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি বসতির কাছে একটি হিন্দু মন্দির)।

ওপরের পোস্টের লিঙ্ক এখানে (‌post)‌। এমন আরও পোস্ট দেখুন (‌here)‌।

FACT CHECK
‌নিউজমোবাইল এর ফ্যাক্ট চেক করে দেখেছে যে এর দাবি অসত্য।

আমরা ভিডিওটির কিফ্রেম বার করে নিয়ে প্রাসঙ্গিক কিওয়র্ডের সঙ্গে মিলিয়ে সেগুলির রিভার্স ইমেজ সার্চ করি।

অলুসন্ধান করে আমরা দেখতে পাই টাইমস নাউ–এর  (Times Now)  ২০২১ সালের ৫ অগাস্টের একটি প্রতিবেদনের সঙ্গে এই ভিডিওটি আছে। তার হেডলাইনে বলা হয়েছে, ‘‌কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা!‌ পাকিস্তানে উচ্ছৃঙ্খল জনতা একটি হিন্দু মন্দির আক্রমণ করছে।’‌

প্রতিবেদন অনুসারে ভিডিওটি পাকিস্তানের ভঙ শহরের যেখানে রহিম ইয়ার খান জেলায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির আক্রমণ করেছিল। তার আগে একটি কমবয়সী ছেলে একটি মুসলিম সেমিনারি অপবিত্র করেছিল ( minor boy desecrating a Muslim seminary ) বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে হিন্দু মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ২০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আমরা পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন–এ (Dawn) ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ওই ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেখতে পাই। তার শিরোনাম ছিল:‌ ‘‌অপবিত্র করার ঘটনায় অপ্পা্তবয়স্ক ছেলে জামিন পাওয়ার পর উচ্ছৃঙ্খল জনতা মন্দির ভাঙচুর করে।’‌

‌প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ভঙ শহরে কয়েকশো মানুষ একটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করে এবং সুক্কুর–মুলতান হাইওয়ে অবরোধ করে। তার আগে একটি স্থানীয় এক সেনিনারিতে একটি নয় বছরের ছেলে প্রস্রাব করেছিল। এই বিষয়ে আরও প্রতিবেদন দেখুন এখানে (‌ )‌।

তাছাড়া আমরা অনুসন্ধান করেও পশ্চিমবঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল জনতার মন্দির ভাঙচুর করার সাম্প্রতিক কোনও ঘটনার সন্ধান পাইনি।

কাজেই এটা স্পষ্ট যে এই ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তা পশ্চিমবঙ্গের কোনও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা নয়। কাজেই দাবিটি অসত্য।