Fact Check: শর্ট সার্কিটের কারণে নাগাল্যান্ডের বাজারে আগুনের ভিডিও মিথ্যা দাবি সহ ভাইরাল হয়েছে

0 289

সম্প্রতি নাগাল্যান্ডে টহল‌দারির সময় একদল সেনা ভুলবশত কাজ শেষে বাড়ির পথে পাড়ি দেওয়া খনি–শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানোয় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এই পটভূমিতে, একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকগুলি ভবনে আগুন জ্বলছে আর দমকল–কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। দাবি করে হচ্ছে যে ঘটনাটি বিক্ষোভের সময় ঘটেছে।

ফেসবুক ইউজাররা শেয়ার করার সময় ক্যাপশন দিচ্ছেন, “नगालैंड के ओटिंग गाँव में कोयला खदान से काम करके लौट रहे 12 मज़दूरों की असम राइफल्स के जवानों की गोलीबारी में मौत होने के बाद नागालैंड में आगजनी शुरू हो चुकी। कुछ ही महीनों से नागालैंड में ऐसी खबरें आम हो गयी है लेकिन गृहमंत्री जी चुनावों में व्यस्त है tripura_is_burning”

(‌অনুবাদ:‌ নাগাল্যান্ডের ওটিং গ্রামে অসম রাইফেলস কর্মীদের গুলিতে কয়লা খনি থেকে ফেরার পথে ১২ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার পরে নাগাল্যান্ডে অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। কয়েক মাস ধরে নাগাল্যান্ডে এমন খবর সাধারণ হয়ে উঠলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। #ত্রিপুরা_জ্বলছে)‌

এইখানে পোস্টের (‌ post )‌ লিঙ্ক দেওয়া হল)।

FACT CHECK
নিউজমোবাইল পোস্টটির সত্যতা যাচাই করেছে এবং দেখেছে এটি বিভ্রান্তিকর।

আমরা ইনভিড টুল ব্যবহার করে ভিডিওর কিফ্রেমগুলি বার করে নিয়ে সেগুলোর রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। তা আমাদের একই ভিডিওতে নিয়ে যায়, যা ৫ ডিসেম্বর, ২০২১-এ ইউটিউব-এ ( YouTube )  আপলোড করা হয়েছিল।

ভিডিওটির বর্ণনায় বলা হয়েছে, “শর্ট সার্কিটের কারণে বাজার পয়েন্ট টুয়েনসাং-এ আগুন লেগে অন্তত ৩/৪টি দোকান পুড়ে গেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

এই ঘটনার ভিডিও ৫ ডিসেম্বর ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল নিউজ ১২ অসম নর্থ ইস্ট (‌ News 12 Assam North East )‌ নামে একটি পেজে।

ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “রবিবার বিকেল ৩টা নাগাদ তুয়েনসাং-এর মেন পুলিশ পয়েন্ট মার্কেটে কয়েকটি দোকানে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে ব্যস্ত বাজারে ব্যবসার কারণে লাখ লাখ টাকার নগদ অর্থের বিশাল ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে তিন মিনিটের মধ্যে ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। দূর থেকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল, এবং সেই কারণে আগুন কত বড় এবং কোথায় লেগেছে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।”

<iframe data-src=”https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Fnewstwelvenortheast%2Fvideos%2F1784512288411299%2F&show_text=0&width=560″ width=”560″ height=”315″ style=”border:none;overflow:hidden” scrolling=”no” frameborder=”0″ allowfullscreen=”true” allow=”autoplay; clipboard-write; encrypted-media; picture-in-picture; web-share” allowFullScreen=”true”></iframe>

এর সূত্র ধরে আমরা একটি কিওয়ার্ড অনুসন্ধান চালাই এবং তুয়েনসাং পুলিশের (Tuensang Police) হ্যান্ডেলে একটি টুইট পাই, যেখানে একথা স্পষ্ট করা হয়েছিল যে ভিডিওটি মিথ্যা দাবিসহ শেয়ার করা হচ্ছে।

টুইটে বলা হয়েছিল, “এটা লক্ষ্য করা গেছে যে কিছু লোক টুয়েনসাং টাউনের বাজার পয়েন্টে আগুন নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। অন্য কোনও ঘটনার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। সন্দেহ করা হচ্ছে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”

উপরোক্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট যে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগার একটি ভিডিও মিথ্যা দাবি করে শেয়ার করা হচ্ছে।