চলতি হিজাব বিতর্কের মধ্যে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে, যাতে দেখা যাচ্ছে বোরখা পরা একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে।
ভিডিওটি এই দাবি করে শেয়ার করা হচ্ছে যে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটকে পুলিশকে পাথর নিক্ষেপ করার জন্য লোকটিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যে ক্যাপশন দিয়ে ভিডিওটি শেয়ার করা হচ্ছে তা এরকম:, “एपी, तेलंगाना और कर्नाटक में पुलिस पर पत्थर फेंकने वाले बुर्का हिजाब पहने आतंकी पुरुष समूहों को रंगे हाथों पकड़ा गया।” (অনুবাদ, ‘‘এপি, তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটকে পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করার জন্য বোরখা হিজাব পরিহিত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে।’’)
এই পোস্টের লিঙ্ক দেখুন এখানে ( here )।
FACT CHECK
নিউজ মোবাইল এর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে যে দাবিটি হিভ্রান্তিকর।
একটি কিফ্রেম ব্যবহার করে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করার সময় আমরা দেখতে পেলাম যে এই ভিডিওটি ইটিভি অন্ধ্রপ্রদেশ 8 আগস্ট, ২০২০ তারিখে আপলোড করেছিল, আর এর শিরোনাম ছিল, “বেশ কয়েকজন গ্রেফতার| বোরখা পরে অবৈধ মদ পাচারের জন্য| কুরনুল জেলায়।” এই ভিডিওতে, ৩৮ সেকেন্ডের ( 38 seconds ) টাইমস্ট্যাম্প–এ পরিষ্কারভাবে জব্দ করা মদের বোতল দেখা যাচ্ছে।
আমরা আরও দেখতে পেলাম যে কুরনুল–এর এসপি ফাক্কিরাপ্পা কাগিনেল্লিও ভাইরাল দাবি বাতিল করে ১৬ আগস্ট, ২০২০ তারিখে একটি টুইট করেছিলেন। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, “তথ্য# এই ভিডিওর বোরখা পরিহিত লোকটিকে তেলেঙ্গানা থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুলে বেআইনিভাবে মদের বোতল বহন করে আনতে দেখা গেছে। আবগারি পুলিশ দ্বারা ধরা হয়েছে, ৭-৮-২০২০ তারিখে কুরনুল তালুক থানায় রিপোর্ট করা হয়েছিল।’’
বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশও ভাইরাল দাবিকে অস্বীকার করেছে। তারা তাদের ফেসবুক পেজে ( Facebook page ) পোস্ট করেছে, ‘‘কর্নাটক পুলিশ বোরখা পরিহিত আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করছে এবং তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই মহিলাদের পোশাকে ছেলে বলে ভিডিওর দাবি: সত্য ঘটনা – কর্ণাটক রাজ্য পুলিশ ফ্যাক্টচেক।’’
কাজেই এটা স্পষ্ট যে ভাইরাল ভিডিওটিকে বিভ্রান্তি করার জন্য ঘটনাটিকে কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।