Fact Check:‌ বাংলাদেশে বন্যার সময় মানুষের নমাজ পড়ার পুরনো ভিডিও মিথ্যা দাবি–সহ শেয়ার করা হচ্ছে

0 335

কিছু মানুষের হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে নমাজ পড়ার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা গঙ্গার জমি দখল করার উদ্দেশ্য নিয়ে নদীর উপর দাঁড়িয়ে আজান দিচ্ছেন।

এই ভিডিওটি শেয়ার করার সময় হিন্দিতে যে ক্যাপশন দেওয়া হচ্ছে অনুবাদ করলে তা দাঁড়াবে, ‘‌এটা হল মুসলিমদের আজান দিয়ে গঙ্গা দখল করার পরিকল্পনা। তাদের পরিকল্পনা হল গঙ্গার তীরে একটা অস্থায়ী বাড়ি বানাতে হবে।পরে সেটাকেই স্থায়ী বাড়িতে পরিণত করতে হবে। যেহেতু পৃথিবীতে পরের লড়াইটা হবে জল নিয়ে, এই মুসলিমরা গঙ্গার তীরে বাস করে ইসলামের শক্তি বাড়াবে।’‌

(Original Text: यह मुस्लिमोंकी एक योजना है कि एकान्त  स्थान पर गंगा नदी में अज़ान लगा कर कब्जा किया जये। इनकी योजना के अनुसार गंगा नदी के किनारे किनारे पर अस्थाई निवास बनाये जाय बाद में यह स्थाई निवास में परिवर्तन कर दिया जायेगा। क्यों कि विश्व की अगली लड़ाई पानी के लिए होनी है। और यह गंगा के किनारे रह कर यह मुस्लिम इस्लाम को बुलन्द करेंगे। मेरी आप सभी  हिन्दू भाइयों से विनती है कि यह विडियो वायरल  करें ज्यादा से ज्यादा)

এখানে ওপরের পোস্টের (‌ post )‌ লিঙ্ক দেওয়া হল। এরকম আরও পোস্ট দেখুন এখানে  (‌ here and here )‌।

এই পোস্টটি ফেসবুকে (‌ Facebook )‌ ভাইরাল হয়েছে।

FACT CHECK
নিউজ মোবাইল এই পোস্টের ফ্যাক্ট চেক করে দেখেছে এই দাবিটি মিথ্যা।

আমরা ভিডিওটির কি–ফ্রেমগুলির রিভার্স ইমেজ সার্চ করি, এবং তা থেকে পৌঁছই অনেকগুলি ইউটিউব ভিডিওতে (‌ YouTube videos ), ‌যেগুলি বাংলাশের মিডিয়ার তরফে আপলোড করা হয়েছিল ২০২০ সালের মে মাসে। সেগুলিতেও এই ভাইরাল ভিডিওর ছবিই ছিল। অন্য ইউটিউব ভিডিও দেখুন এখানে (‌ here and here )‌।

https://www.youtube.com/watch?v=AuJBjZ2AbTo

‌ভিডিওগুলিতে দেওয়া বিবরণ অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘পানিতে দাঁড়িয়ে ইদের নমাজ আদায়, খুলনার কোয়রা উপজেলার বহু এলাকা এখন জলের তলায়।’‌

আরও অমুলন্ধান করে আমরা দেখতে পাই, ২০২০ সালের মে মাসের অনেক সংবাদ প্রতিবেদনে ( news reports ) ভাইরাল ভিডিওর অংশবিশেষ দেখা যাচ্ছে। এই প্রতিবেদনগুলি অনুযায়ী, ২৫ মে ইদ–উল–ফিতরের দিন বাংলাদেশের খুলনার কোয়রা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছিল

‌প্রতিবেদনগুলিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‌খুলনার কোয়রা উপজেলায় সাইক্লোন আমফান নদীর পাড় ভেঙেছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে। ফলে বহু মানুষকে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে নমাজ পড়তে হয়েছে।’‌

‌এই ঘটনার খবর আরও অনেক জায়গায় বেরিয়েছিল। সেই প্রতিবেদনগুলি পড়ুন এখানে (‌ here and here )‌।

এর আগে নিউজমোবাইল এমন আরও দাবি নস্যাত করেছে। এখানে দেখুন (‌ here )‌।

কাজেই এটা স্পষ্ট বাংলাদেশের মানুষের হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে নমাজ পড়ার ছবিকে মিথ্যা দাবিসহ শেয়ার করা হচ্ছে।