Fact Check: আফগানিস্তানে সংঘর্ষের পুরনো, অপ্রাসঙ্গিক ছবি ভুয়ো দাবিসহ শেয়ার করা হচ্ছে

0 237

দুটো ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হচ্ছে এই বলে যে সেগুলো আফগানিস্তানের পঞ্জশিরে (‌ Panjshir )‌ একটি তালিবান কনভয়ের ওপর আক্রমণের ছবি। তালিবান ২০২১–এর অগাস্টে ক্ষমতা দখল করলেও পঞ্জশিরে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (‌এনআরএফ)‌।

ফেসবুকে পোস্টটি শেয়ার করার সময় ক্যাপশনে যা লেখা হচ্ছে অনুবাদে তা এরকম:‌
“গত রাতেদুই রেঞ্জারের ওপর আক্রমণ। খাবাক পঞ্জশির ৬ টি–তে আলবানিয়ান সন্ত্রাসবাদী। সান–রেজিস্ট্যান্সের হাতে তাদের সব সম্পদ। এক সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু ও তাদের ৮ জন আহত এবং ২ জন ধরা পড়েছে। তালিবান সন্ত্রাসবাদীরা অন্য জায়গায় শান্তিতে সরকার করলেও তারা শান্তিপূর্ণ সরকার দেখবে না। রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট ফোর্সেস–কে সমর্থনের জন্য পোস্টটি শেয়ার করুন।”

(Original Text: دیشب در یک حمله چریکی بر دو رنجر ط.البان تروریست در خاواک پنجشیر ط.لب تروریست کشته و 8 نفر شان زخمی و ۹نفرشان اسیرشده اند  تمام غنیمت هایشان به دست مقاومت گران آفتادهطالبان تروریست در هر ولایت دیگر که حکومت آرام داشته باشند ندارن  حکومت آرام را نخواهند دید.بخاطری حمایت نیروهای جبهه مقاومت پست را شیر کنید)

ওপরের পোস্ট ( post ) দেখুন এখানে ।

FACT CHECK
নিউজমোবাইল এর ফ্যাক্ট চেক করে দেখেছে যে এই দাবি বিভ্রান্তিকর।

আমরা অনুসন্ধান শুরু করে কিওয়র্ড সার্চ (keyword search) দিয়ে এমন কোনও নির্ভরযোগ্য মিডিয়া রিপোর্ট পাইনি যা এই ভাইরাল দাবি সমর্থন করে। আফগানিস্তানে এমন ঘটনা ঘটলে মিডিয়া তা রিপোর্ট করত।

তারপর আমরা দুটো ছবির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখতে পাই সেগুলো পুরনো ছবি।

চিত্র ১

আমরা প্রথম ছবির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখতে পাই সেই ছবি টুইটারে (‌ Twitter )‌ একটি পোস্টেও আছ। তা আপলোড করা হয়েছিল ২০২০–র ১২ অক্টোবর। ক্যাপশন ছিল:‌ “গত রাতে হেলমন্দে আফগান বাহিনী চমৎকার কাজ করেছে, এবং আমরা তাদের পেশাদারিত্ব ও সাহসকে স্যালুট করছি। দোহায় শান্তি আলোচনা চালাবে আর আফগানিস্তানে লড়াই করবে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তালিবান কোনও একটা বেছে নিক।” এর অর্থ ছবিটি পুরনো এবং এখনকার আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক নয়।

আমরা ২০২০ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্টেও (‌ news article   )‌ এই ছবি দেখতে পাই। সেখানে হেডলাইন ছিল:‌ “লস্কর গা–এর কাছে তীব্র লড়াই, তালিবানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। এমন আর একটি রিপোর্ট দেখুন এখানে (‌ here.    )‌।’‌’‌

চিত্র ২

দ্বিতীয় ছবি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা পাই একটি সংবাদ নিবন্ধ (‌  news article   )‌ দেখতে পাই যা প্রকাশিত হয়েছিল দু’‌বছর আগে (‌২০১৯)‌। তাতে বলা ছিল, “জাবুল আত্মঘাতী হামলার মাস্টারমাইন্ড গ্রোফতার হয়েছে গজনি প্রদেশে।”

২০১৯–এর সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত আরও একটি রিপোর্টের (‌ news report   )‌ সঙ্গেও এই ছবি ছিল। সেখানে বলা ছিল, “আফগান বাহিনী জাবুল হসপিটালে বম্বিংয়ের সন্দেহভাজন পরিকল্পনাকার ও আরও আটজনকে গজনি প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (‌এমওডি)‌ জানিয়েছে।”

কাজেই ওপরের তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে দুটো পুরনো ও অপ্রাসঙ্গিক ছবি ভুয়ো দাবিসহ  শেয়ার করা হচ্ছে।