Fact Check: ২০১৭ সালের পুরনো ছবিকে অসত্যভাবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হিংসার ছবি বলে চালানো হচ্ছে

0 274

বাংলাদেশে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ( violence )  হিন্দু মন্দির ও বড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে এবং অনেকের প্রাণ গিয়েছে। এই অবস্থায় ক্রন্দনরতা এক মহিলার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এই দাবিসহ যে তিনি সাম্প্রতিক হিংসার ভুক্তভোগী।

সামাজিক মাধ্যমে ইউজাররা ঘটনাটিকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হিংসার সঙ্গে যুক্ত করতে হ্যাশট্যাগ দিচ্ছেন “#durgapujasave #bangladeshsavehindu #attackiskcontemple”।

ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করার সময় ক্যাপশন দেওয়া হচ্ছে: ‘‌পূর্ণিমা রাণী বলেন, হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে তার দুই তরুণী মেয়ে কোথায়, জানতে চায়। ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে টাকা, গরু নিয়ে যায়। ঘরে আগুন লাগিয়ে যায়। (রংপুর, প্রথম আলো)’‌‌

এই পোস্টের লিঙ্ক দেখুন এখানে (‌ post )‌। আরও এমন পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে (‌ here and here )‌।

FACT CHECK
নিউজমোবাইল এর ফ্যাক্ট চেক করে দেখেছে যে এই দাবি বিভ্রান্তিকর।

আমরা গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখতে পাই ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর এমনই একটা ছবি আপলোড হয়েছিল একটি সংবাদ নিবন্ধের (‌ news article )‌ সঙ্গে। তার হেডলাইন ছিল,‌ ‘ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সংঘর্ষ, রঙপুরে হত ১’‌।‌ ক্যাপশনে লেখা ছিল, “দুষ্কৃতিরা ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর রঙপুরের সদর উপজিলায় ফেসবুক পোস্টে ইসলামের অবমাননার পর সংঘর্ষের সময় তাঁর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় এক মহিলা কান্নায় ভেঙে পড়েন।”

আরও সন্ধান করে আমরা ২০১৭ নভেম্বরের একটটি সংবাদ নিবন্ধ (‌  news article  )‌ পাই, যেখানে ওই ভাইরাল ইমেজসহ একই খবর ছিল। এছাড়া ২০১৭ সালের আরও সংবাদ নিবন্ধ (‌  articles )‌ পাই যেগুলো ওই ঘটনা রিপোর্ট (‌ reporting )‌ করেছিল।

আরও কিওয়র্ড সার্চ করে আমরা বাংলাদেশ প্রথম আলো (‌ Bangladesh’s Prothom Alo )‌ পত্রিকার প্রকাশিত খবরে দেখতে পাই পূর্ণিমা রাণীর নাম পাই। ২০২১–এর ১৮ অক্টোবর প্রকাশিত খবর অনুযায়ী দুষ্কৃতীরা রংপুর জেলার পীরগঞ্জে হিন্দুদের বাড়ি আক্রমণ করে। বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া ও টাকাপয়সা লুঠ করা হয়।

নিবন্ধে লেখা ছিল, পূর্ণিমা রাণী বলেন হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে তার দুই তরুণী মেয়ে কোথায়, জানতে চায়। ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে, ৫০,০০০ টাকা ও গরু নিয়ে যায়। ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

রিপোর্টের সংশ্লিষ্ট ভিডিওতে (‌  video    )‌ পূর্ণিমা রাণীকে দেখা যায়। স্পষ্টতই তাঁর সঙ্গে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবির মহিলার কোনও সাদৃশ্য নেই।

কাজেই ওপরের তথ্য থেকে স্পষ্ট ২০১৭ সালের পুরনো ছবি অসত্যভাবে বাংলাদেশে এখনকার সাম্প্রতিক হিংসার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। কাজেই ভাইরাল দাবিটি বিভ্রান্তিকর।