Fact Check: আখের রস বিক্রেতার মেশিন বাজেয়াপ্ত করার ভিডিও জয়পুরের নয়, নয়ডার

0 548

একটি ভিডিও, যেখানে একজন আখের রস বিক্রেতাকে তাঁর বাজেয়াপ্ত হওয়া মেশিনটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য একজন আধিকারিককে অনুরোধ করতে দেখা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে এই দাবি করে যে ঘটনাটি জয়পুরে ঘটেছে। ।

ভিডিওটি এই হিন্দি ক্যাপশন দিয়ে ফেসবুকে শেয়ার করা হচ্ছে, “यह पोस्ट जयपुर की है और यहां बेचारे सतीश भाई अपना धंधा पानी चला रहे थे गन्ना मशीन के द्वारा और इस अधिकारी ने उनकी मशीन को उठवा कर कचरा गाड़ी में फिकवा दिया है इसलिए इस (मुर्ख) अधिकारी को निलंबित करवाने में मदद करें इस पोस्ट को अधिक से अधिक भेजे ताकि यह निलंबित हो जाए”

(‌অনুবাদ: এই পোস্টটি জয়পুরের এবং এখানে দরিদ্র সতীশ ভাই একটি আখের মেশিনের মাধ্যমে তাঁর ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। এই অফিসার তাঁর মেশিনটি তুলে একটি আবর্জনার গাড়িতে ফেলে দিয়েছে, তাই এই (মূর্খ) অফিসারটিকে সাসপেন্ড করাতে যতটা সম্ভব সাহায্য করুন। এই পোস্টটি বেশি করে পাঠান যাতে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।)‌

এখানে ওপরের পোস্টের (‌ post )‌ লিঙ্ক দেওয়া হল।

FACT CHECK

নিউজমোবাইল এর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে এটি বিভ্রান্তিকর।

ভিডিওটি ভালভাবে দেখে, আমরা একটি স্কুটার দেখতে পাই যার নম্বর প্লেটে “ইউপি” লেখা ছিল। এছাড়াও স্কুটারের হেডলাইটে ‘নয়ডা’ লেখা দেখা যায়।

এটি থেকে একটি ইঙ্গিত নিয়ে আমরা ভাইরাল ভিডিওটির কিফ্রেমগুলির রিভার্স ইমেজ সার্চ করেছি এবং ২৩ মার্চ, ২০২২-এ এক কংগ্রেস নেতার আপলোড করা একই ভিডিও পেয়েছি, যার ক্যাপশনে লেখা আছে, “বাবার বুলডোজার এবং গরিবের অশ্রু”। টুইটার (‌ Twitter    )‌ পোস্ট অনুসারে, ভিডিওটি নয়ডা সেক্টর ৪২, আঘাপুর গ্রামের।

২৩ মার্চ, ২০২২-এ একই ভিডিও বিনোদ কাপ্রিও টুইট (‌ tweeted    )‌ করে বলেছিলেন, এই ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের নয়ডার।

আরও অনুসন্ধান করে আমরা বেশ কয়েকটি সংবাদ নিবন্ধ পেয়েছি যা একই ঘটনা রিপোর্ট করেছে। ২৪শে মার্চ, ২০২২-এ জনসত্তার (‌ Jansatta  )‌ একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “উত্তরপ্রদেশের নয়ডার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। এই ভিডিওতে নয়ডার কিছু আধিকারিক বুলডোজার দিয়ে আখের রস বিক্রেতা সতীশ গুর্জরের আখের মেশিন কেড়ে নিয়ে যায়।”

আমরা ২৪ মার্চ, ২০২২ তারিখে নয়ডা কর্তৃপক্ষের একটি টুইটও (‌  tweet  )‌ পেয়েছি৷ এই ভিডিওতে সতীশ গুর্জার বলেছেন যে ক্রাশারটি তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া তাঁকে নয়ডা সেক্টর ৫০-এর অনুমোদিত ভেন্ডিং জোনে জায়গাও দেওয়া হয়েছে। সতীশ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন, এবং স্বীকার করেছেন যে তিনি ‘নন-ভেন্ডিং জোনে কোনও বৈধ ভেন্ডিং লাইসেন্স ছাড়াই আখের রস বিক্রি করছিলেন।’

উপরের তথ্য থেকে স্পষ্ট যে ভাইরাল ভিডিওটি জয়পুরের নয়, নয়ডার। তাই দাবিটি বিভ্রান্তিকর।