Fact Check: ‌না, এই ভাইরাল ইমেজে যা দেখা যাচ্ছে তা উজবেকিস্তানের সমরকন্দে পাও্য়া পাথরের দরজা নয়; সত্য জানুন এখানে

0 334

সামাজিক মাধ্যমে একটা কারুরাজ করা নিদর্শন ভাইরাল হয়েছে এই দাবিসহ যে সেটি উজবেকিস্তানের সমরকন্দে ১৯০৩ সালে পাও্য়া একটি পুরনো পাথরের দরজা।

পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে যে ক্যাপশন দিয়ে তাতে লেখা, ‘‌সেমরকন্ত, ১৯০৩’‌।

ওপরের পোস্টের লিঙ্ক দেওয়া হল এখানে  (‌ here )। একই ধরণের আরও পোস্ট দেখুন (‌hereherehere, and here.   )‌।

FACT CHECK

নিউজমোবাইল এপ সত্যতা যাচাই করে দেখেছে যে এটি ভুয়ো।

রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা দেখতে পাই এই ছবিটি The Ancient World#BLM নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল আপলোড করেছিল ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট। তার ক্যাপনে লেখা ছিল, ‘‌একদম নিশ্চিত যে পরের শটেই দেখা যাবে প্রথম শুঁড়গুলো বেরোতে শুরু করছে।’‌

পরে এই টুইটে প্রশ্নের জবাবে ওই টুইটার ইউজার জানান যে ছবিটি ভুয়ো। তিনি জবাব দেন, ‘‌শুধু বলব সবাই জেনে রাখুন ছবিটি ভুয়ো। কিন্তু মানতেই হবে এটা দারুন ফাটাফাটি জিনিস।’‌

https://twitter.com/TheAncientWorld/status/1427711701890207746?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1427711701890207746%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fnewsmobile.in%2Farticles%2F2021%2F08%2F20%2Ffact-check-no-the-viral-image-is-not-of-stone-door-found-in-samarkand-uzbekistan-heres-the-truth%2F

আরও সন্ধান করে আমরা দেখতে পাই ২০২১ সালের ১ মে একজন ইলস্টাগ্রাম   ইউজার আন্দ্রে বোনাজ্জি (‌ Andrea Bonazzi )‌ এই ছবিটি আপলোড করেচিলেন। একজন অনুবাদক ও নন–ফিকশন লেখক আন্দ্রে (‌ Andrea )‌ এমন সব বিচিত্র স্থাপত্য বা ছবির মন্তাজ তৈরি করেন যা সংগ্রাহকদের আনন্দের বিষয়।

ওই পোস্টের জবাবে আন্দ্রে বোনাজ্জি (‌ Andrea Bonazzi )‌ মন্তব্য করেন যে কেউ এই ছবিটি নিয়ে তা সত্যিকারের সামগ্রী বলে প্রকাশ করেন।

তাঁর কমেন্ট ছিল, “কেউ ইনস্টাগ্রামে এই ছবিটি চুরি করে তা বদলে নিয়ে এটাকে ‘‌সত্যিকারের’‌ ফোটো বলে প্রকাশ করেছেন। আমি তাঁদের অ্যাকাউন্ট নিয়ে নালিশ জানিয়েছি।”

এর সূত্র ধরে আমরা বোনাজ্জির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এটি সত্যি নয়,  এটি তাঁর তৈরি করা শিল্পকর্ম।

বোনাজ্জি নিউজমোবাইল–কে বলেন, “‌আমি ফোটোর মন্তাজ করি সম্পাদকীয় ছবি হিসেবে, এবং পুরনো ছবি দিয়ে নিজের কল্পনাপ্রসূত স্থাপত্য তৈরি করি। সম্প্রতি তেমন কিছু ছবি চুরি করে ওয়েবে ছাপানো হয়েছে ঠকানোর জন্য এই দাবি করে যে সেগুলো ‘‌সত্যিকারের’ ‌ছবি।

তিনি আমদের সঙ্গে সেই মূল ছবিটি শেয়ার করেন যা তাঁকে এই ছবিটি বানাতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

‌শিল্পকর্ম হিসেবে একটি খননক্ষেত্রের ছবি বদলে দেওয়া হয়েছে পাথরের ছবি দিয়ে যা এখানে দেখা যাবে (‌ here )‌।

কাজেই ভাইরাল ছবিটি হল আন্দ্রে বোনাজ্জির শিল্পকর্ম এবং তা কোনও খননের সময় পাওয়া যায়নি।