Fact Check: থাইল্যান্ডের ছবি ভারতে প্রাণী নৃশংসতা হিসাবে ভাইরাল

0 61

একটি গুরুতর আহত হাতির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে, এবং দাবি করা হয়েছে যে এটি ‘জয়মালা’ নামে একটি অসমিয়া হাতির ছবি, যাকে তামিলনাড়ুতে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল। এতে আরও দাবি করা হয়, বিষয়টি জানার পরও অসম সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

ছবিটি অসমীয়া ভাষায় একটি ক্যাপশন সহ ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে: “আজি গনেশ পূজা ৷ এই পোষ্টটো যিমান পাৰে চেয়াৰ কৰক #তামিলনাডুৰ_মন্দিৰত_বন্দী_অসমৰ _হাতীক_নৃশংস_ নিৰ্যাতন জয়মালা। এই হাতীটো মাথোঁ ছয়মাহৰ বাবে ২০০৮ চনত অসমৰ পৰা তামিলনাডুলৈ লিজত নিয়া হৈছিল। কিন্তু যোৱা ১৩ বছৰে অবৈধ ভাবে বন্দী কৰি ৰখা হাতীটোক এটা মন্দিৰ চৌহদত চাৰিওখন ঠেং শিকলিৰে বান্ধি কেইবাজনো মাউতে নৃশংসভাবে মাৰপিত কৰি থকাৰ ভিডিঅ’ পেটা নামৰ স্বেচ্ছাসেৱী সংগঠনটোৱে ৰাজহুৱা কৰাৰ লগতে চৰকাৰৰ হস্তক্ষেপ দাবী কৰিছে। কিন্তু সকলো জানিও নিৰ্লিপ্ত হৈ আছে অসমৰ বন বিভাগ।”

(‌অনুবাদঃ আজ গণেশ পূজা। এই পোস্টটি যতটা পারেন শেয়ার করুন ##তামিলনাডুৰ_মন্দিরে_বন্দী_অসমের _হাতীর_নৃশংস_ নিৰ্যাতন জয়মালা। হাতিটিকে ২০০৮ সালে অসম থেকে তামিলনাড়ুতে মাত্র ছয় মাসের লিজে দেওয়া হয়েছিল। হাতিটি গত ১৩ বছর ধরে অবৈধভাবে বন্দী – মন্দির চত্বরে বেশ কিছু মাহুত তাকে নির্মমভাবে পিটিয়েছিল৷ কিন্তু অসম বন বিভাগ সব কিছু জেনেও উদাসীন।)

এখানে এই পোস্টের (‌ post )‌ লিঙ্ক দেওয়া হল।

FACT CHECK
নিউজমোবাইল উপরোক্ত দাবিটির সত্য–পরীক্ষা করেছে এবং এটি বিভ্রান্তিকর বলে মনে করেছে।

একটি সাধারণ রিভার্স ইমেজ সার্চ আমাদের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের (‌ National Geographic )‌ একটি নিবন্ধে নির্দেশিত করেছে, যেটি ২০ জুন, ২০১৯–এ একই ভাইরাল চিত্র বহন করেছিল। চিত্রের বিবরণে লেখা আছে: “গ্লু্য়াই হম, একটি চার বছর বয়সী হাতি যা পর্যটকদের জন্য কৌশল সম্পাদন করতে প্রশিক্ষিত, তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের কাছে সামুত প্রাকান ক্রোকোডাইল ফার্ম ও চিড়িয়াখানার স্টেডিয়ামে একটি খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে। হাতিটি ডান পা ফুলে থাকায় খুঁড়িয়ে চলছিল।” এর স্পষ্ট অর্থ হল ছবিটি থাইল্যান্ডের।

একই চিত্র ইউরো নিউজ (‌ Euro News  )‌ প্রকাশ করেছিল ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে। তার শিরোনাম ছিল: “জঙ্গলে সেলফি: অপব্যবহার, শোষণ এবং বন্যপ্রাণী পর্যটনের অন্ধকার দিক।” চিত্রটির বর্ণনা করে নিবন্ধটিতে লেখা হয়েছিল: “প্রদর্শিত চিত্রগুলির মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে যে একটি পাঁচ বছর বয়সী হাতি গ্লু্য়াই হম–কে ব্যাংককের কাছে একটি বিনোদন কেন্দ্রে একটি স্টেডিয়ামের নীচে পাওয়া গেছে৷ তার পা ভেঙ্গে গেছে এবং তার মুখে খোলা ঘা ছিল। এই ছবিটি তোলার ছয় মাস পরে, দলের ফিক্সার একই অবস্থায় একই জায়গায় গ্লু্য়াই হমকে খুঁজে পান। থাইল্যান্ডে প্রাণী কল্যাণ আইন হয় বিদ্যমান নেই বা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয় না, তাই একটি অসুস্থ হাতিকে ব্যাকইয়ার্ডে রাখার জন্য কোনও শাস্তি নেই—এমনকি লোকেরা এটি বিরক্তিকর বলে মনে করলেও।”

সুতরাং, এটি এখন স্পষ্ট যে থাইল্যান্ডের একটি পুরনো ছবি ভারতে নির্মমভাবে অত্যাচারিত একটি হাতির ছবি হিসাবে শেয়ার করা হয়েছে।