সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে যে জনতা রাস্তার মাঝখানে একটি মেয়েকে মারধর করছে এবং অবশেষে তাকে পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে একাধিকবার গুলি করছে। পেছন থেকে তাকে গুলি করার আগে মেয়েটিকে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখা যায়। অনেক ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে ঘটনাটি মণিপুরের এবং একটি কুকি খ্রিস্টান মেয়েকে রাস্তায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভাইরাল পোস্টটি এই ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট করেছেন (: posted) #internationalhumanrights Who are these people killing brutally, innocent people, specially women!मणिपुर में कुकी ईसाई लड़की के क्रूर हमले और हत्या का चौंकाने वाला वीडियो। फासीवादी सरकार के शासन में मणिपुर क्या होता जा रहा है, ये एक वीभत्स, दुखद सच्चाई है। ये तानाशाही है, आज नहीं मानोगे तो कल दूसरा राज्य हो सकता है। मणिपुर के लिए प्रार्थना करें (অনুবাদ: #internationalhumanrights কারা এই লোকেরা যারা নৃশংসভাবে, নিরপরাধ মানুষকে, বিশেষ করে নারীদের হত্যা করছে! মণিপুরে কুকি খ্রিস্টান মেয়ের উপর নৃশংস হামলা ও হত্যার মর্মান্তিক ভিডিও। ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনে মণিপুর যা হয়ে উঠছে তা এক বিভীষিকাময়, করুণ বাস্তবতা। এটাই স্বৈরাচার, এ কথা আজ না মানলে কাল অন্য রাজ্যে হতে পারে। মণিপুরের জন্য প্রার্থনা করুন)
এখানে ( here ) উপরের পোস্টের লিঙ্ক পাবেন।
FACT CHECK
নিউজমোবাইল ভাইরাল পোস্টটির সত্যতা যাচাই করেছে এবং এটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।
ভিডিও কিফ্রেমগুলির একটি রিভার্স ইমেজ সার্চ চালানোর মাধ্যমে আমরা একটি যাচাই না–করা হ্যান্ডেলে ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে বার্মিজ ভাষায় লেখা টুইট ( tweet ) শনাক্ত করেছি। টুইটের একটি ছবি ভাইরাল ভিডিওর একটি কিফ্রেমের সঙ্গে মেলে এবং ক্যাপশনে জানানো হয়েছে যে মেয়েটির নাম আয়ে মা তুন, পিউ নেতা হেইন উনা অং-এর ভাগ্নি।
একটি গুগল কিওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা মিয়ানমার-ভিত্তিক মিডিয়া ওয়েবসাইট ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অফ বার্মার ( Democratic Voice of Burma ) ওয়েবসাইটে ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে সাগাইং-এ হত্যার তদন্ত করার জন্য এনইউজি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে শিরোনামের একটি সংবাদ নিবন্ধ খুঁজে পেয়েছি।
নিবন্ধে ব্যবহৃত ছবিগুলি ভাইরাল ক্লিপের কিফ্রেমের সঙ্গে মিলে যায় এবং প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে মায়ানমারের তামু শহরে তামু পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) কর্তৃক আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করার কারণে এই মহিলা খুন হয়েছেন।
৬ ডিসেম্বর, ২০২২–এর ঘটনার রিপোর্টিংয়ের অনুরূপ একটি নিবন্ধ ক্লিকফোরপিডিএফ ( Clickforpdf ) ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছিল।
অতএব, আমরা চূড়ান্তভাবে বলতে পারি যে মণিপুরে একটি কুকি খ্রিস্টান মেয়েকে রাস্তায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা ভাইরাল পোস্টটি মিথ্যা।