Fact Check: ২০১৬ সালের ইউপি–র একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছবি বিভ্রান্তিকর দাবি সহ সাম্প্রতিক হিসাবে ভাইরাল

0 13

একটি সুসজ্জিত স্কুলের একাধিক ছবি আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেক ব্যবহারকারী স্কুলটিকে ইউপি–র সম্ভল জেলার বলে বর্ণনা করছেন, এবং যোগী আদিত্যনাথের সরকারের অধীনে রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের নিখুঁত উদাহরণ হিসাবে দাবি করে ছবিগুলি শেয়ার করছেন। অনেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ঠাট্টাও করছেন যে স্কুলটি দিল্লিতে থাকলে কীভাবে আন্তর্জাতিক শিরোনাম হত।

একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী এই ক্যাপশন সহ ভাইরাল ছবি পোস্ট (  posted )করেছেন:

ये प्राईमरी स्कूल उत्तर प्रदेश के जिला संभल में है यही अगर दिल्ली की तस्वीर होती तो अंतराष्ट्रीय अखबारों में सुर्खियां बनाई जाती .. पर हमारे महाराज जी अपने आप में अंतरराष्ट्रीय सुर्खी है

(অনুবাদ: এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায়। এটি যদি দিল্লির ছবি হত, তাহলে আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে শিরোনাম হত। কিন্তু আমাদের মহারাজজি নিজেই আন্তর্জাতিক স্পটলাইট।

পোস্টটি দেখতে পাবেন এখানে (‌ here )‌।

FACT CHECK
নিউজমোবাইল ভাইরাল পোস্টটির সত্যতা যাচাই করেছে এবং দাবিগুলি বিভ্রান্তিকর বলে মনে করেছে।

ভাইরাল ছবিগুলির একটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা দেখতে পাই ১০ অক্টোবর, ২০১৬–এ আগ্রার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রভু এন সিং (‌  Prabhu N Singh  )‌–এর একটি টুইটে ( tweet ) নিয়ে যায়। এটি ইঙ্গিত দেয় যে এই ছবিগুলি ৬ বছরেরও বেশি পুরনো এবং স্কুলের এই উন্নয়ন যোগী সরকার গঠনের প্রায় ৫ মাস আগে ঘটেছিল।

https://twitter.com/PrabhuNs_/status/785424655624568833?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E785424655624568833%7Ctwgr%5E12ca0f7573d3d4f3bb9de4ab3d773d9d593f735b%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fnewsmobile.in%2Farticles%2F2022%2F09%2F07%2Ffact-check-2016-images-of-a-primary-school-in-up-viral-as-recent-with-misleading-claims%2F

ছবিগুলো ঘনিষ্ঠভাবে দেখলে আমরা দেখতে পাব যে স্কুলটি ইউপি–র ইতাইলা মাফিতে অবস্থিত। এরপর একটি গুগল কিওয়ার্ড সার্চ আমাদেরকে ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭–এ অমর উজালায় প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদনে নিয়ে যায়। সংবাদ প্রতিবেদনের শিরোনাম: ইউপি–র একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘কপিল স্যার’ কনভেন্ট স্কুলকে চ্যালেঞ্জ করছেন (‌ कॉन्वेंट स्कूलों को चुनौती दे रहे यूपी के एक प्राइमरी स्कूल के ‘कपिल सर’ )‌।


সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কৃতিত্ব প্রধান শিক্ষক কপিল কুমারের। কুমার তাঁর পকেট থেকে ১২ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ করেছেন স্কুলটি সংস্কার করতে এবং শিশুদের একটি উন্নত পরিবেশ ও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করতে। তিনি আরও জানান যে স্কুলটি সরকার থেকে মাত্র ৫০০০ টাকা পেত, যা অত্যন্ত অপর্যাপ্ত ছিল। তাই তিনি স্কুলের উন্নতির জন্য নিজে অর্থ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।

অবশেষে, আমরা ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭–র একটি ইউটিউব ভিডিও দেখতে পেলাম যার শিরোনাম: ইউপি কা ইয়ে গভর্নমেন্ট প্রাইমারি স্কুল দেখ আপকী আঁখে ফট জায়গি | বেস্ট স্কুল অফ ইন্ডিয়া | দ্য লালনটপ (‌ UP का ये Government Primary School देख आपकी आंखें फट जाएंगी | Best School of India | The Lallantop )‌। এটি প্রকাশিত হয়েছিল একটি হিন্দি নিউজ চ্যানেল লালনটপ–এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।

ভিডিওটি আমাদের একই স্কুল দেখায় এবং ভিডিওতে স্কুলের উন্নয়নের জন্য প্রধান শিক্ষক কপিল মালিকের কাজের বর্ণনা দেয়। কপিল প্রতিবেদককে জানান যে স্কুলটি সম্পূর্ণরূপে সংস্কার করতে তাঁর সময় লেগেছে ৩.৫ বছরেরও বেশি। প্রাথমিকভাবে ১৫ জন শিশুর জন্য শুধু ৪টি দেয়ালই ছিল। তিনি প্রশাসনের কাছ থেকে প্রায় কোনও সাহায্য পাননি। শিশুদের পড়াশোনার জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রদানের জন্য এবং কম্পিউটার ল্যাব, টয়লেট, রান্নাঘর, বায়োমেট্রিক উপস্থিতি ব্যবস্থা, লন ইত্যাদি তৈরিতে নিজের অর্থ ব্যয় করেছিলেন।

মালিক পরবর্তীতে শিক্ষা ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগীর কাছ থেকে ২০১৯ সালে রাজ্য শিক্ষক পুরস্কার (‌ State Teacher Award )‌ পেয়েছিলেন।

তাই আমাদের তদন্তের উপর ভিত্তি করে আমরা চূড়ান্তভাবে বলতে পারি যে সম্বলের একটি সু–পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ভাইরাল ছবিগুলিতে যোগী সরকারের অধীনে শিক্ষাগত উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার করা বিভ্রান্তিকর।