Fact Check: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পরে লন্ডনে প্রতিবাদ হিসাবে পুরনো ভিডিও মিথ্যাভাবে শেয়ার করা হয়েছে

0 594

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১১ মে একটি উল্লেখযোগ্য ছাড় দেওয়া হয়েছিল যখন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাঁর গ্রেপ্তারকে (‌  arrest  )‌ “বেআইনি” ঘোষণা করে এবং তাঁর অবিলম্বে মুক্তির আদেশ দেয়। তাদের আদেশে তাঁকে বেঞ্চে হাজির করার পর আদালত এই সিদ্ধান্ত দেয়। আল–কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে রেঞ্জার্সরা খানকে গ্রেপ্তার করেছিল, যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিংসা (‌ violence )‌ ছড়িয়েছিল।

এই পটভূমিতে, রাস্তায় জড়ো হওয়া বিশাল জনতার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে, এবং দাবি করা হয়েছে যে বিক্ষোভকারীরা হলেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাড়ির সামনে দড়ো হওয়া ইমরান খানের সমর্থক।

ভিডিওটি ফেসবুকে এই ক্যাপশনে শেয়ার করা হয়েছে: “ইমরান খানের গ্রেপ্তার নিয়ে অস্থিরতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। লন্ডনের দৃশ্যটি একবার দেখুন, যেখানে খানের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানাতে শত শত জড়ো হয়েছিলেন এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন”

এইখানে পোস্টটির (‌ post )‌ লিঙ্ক পাবেন।

FACT CHECK

নিউজমোবাইল উপরোক্ত দাবিটি সত্য-পরীক্ষা করেছে এবং এটি বিভ্রান্তিকর বলে মনে করেছে।

একটি রিভার্স ইমেজ সার্চ সম্পাদন করে, আমরা ১ নভেম্বর, ২০২২ তারিখের একটি টুইট ( tweet ) শনাক্ত করেছি, যা এই ক্যাপশন–সহ একই ভাইরাল ভিডিও বহন করছে: “ইমরান খানের অসাধারণ জনপ্রিয়তা এবং সমর্থনের সবচেয়ে বড় সম্পদ আজ তরুণ ও মহিলারা এবং বিদেশের পাকিস্তানিরা তার সাক্ষী।” এর থেকে স্পষ্ট যে ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়।

১৭ এপ্রিল, ২০২২ তারিখে দ্য ট্রিবিউনের (‌ The Tribune )‌ একটি সংবাদ প্রতিবেদন, যার সঙ্গে একটি টুইট (‌ tweet )‌ রয়েছে, ভাইরাল ভিডিওর মতো ভিজ্যুয়াল বহন করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে, যিনি ৯ এপ্রিল সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন, সমর্থন জানাতে লন্ডনের হাইড পার্কেও বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।”

২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ তারিখের দ্য সান (‌ The Sun )‌-এর আরেকটি সংবাদ প্রতিবেদনে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা দৃশ্যগুলির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ভিজ্যুয়াল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এবং এতে বলা হয়েছে যে এই ধরনের বিক্ষোভ সাধারণত অ্যাভেনফিল্ড হাউসের বাইরে ঘটে, যেখানে শরিফ তার পরিবারের সঙ্গে থাকেন।

উপরের তথ্য থেকে এটি স্পষ্ট যে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পরে লন্ডনে প্রতিবাদ হিসাবে একটি পুরনো ভিডিও মিথ্যাভাবে শেয়ার করা হয়েছে।