একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে যে মানুষ একটা লম্বা মই এবং অত্যন্ত উঁচু চড়াই চড়ছে, আর তাঁদের মধ্য কিছু মানুষ তাঁদের পিঠে ছোট বাচ্চাদের বহন করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে এই দাবি করে যে এগুলি অরুণাচল প্রদেশের একটি গ্রামের ভিজ্যুয়াল।
ভিডিওটি একটি ক্যাপশন সহ ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে:“हमें अपने यहाँ बस, ट्रेन सुविधा की शिकायत रहती है. ये अरुणाचल का एक छोटा सा गांव है. यहां जिंदगी की रोज की चुनौती भी देख लें” (অনুবাদ:আমরা আমাদের জায়গায় বাস ও ট্রেন সুবিধা নিয়ে অভিযোগ করে থাকি। এটি অরুণাচলের একটি ছোট গ্রাম। এখানে জীবনের দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জ দেখুন)
এখানে উপরের পোস্টের (post ) লিঙ্ক দেওয়া হল।
FACT CHECK
ভাইরাল ভিডিও থেকে কিফ্রেমগুলি বের করে আমরা ২৪ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে একই ভাইরাল ভিডিও বহনকারী একটি টুইট ( tweet ) শনাক্ত করেছি, যার সঙ্গে চিনা ভাষায় একটি ক্যাপশন ছিল: (অনুবাদ: “ডালিয়াং পর্বত থেকে এই ভিডিওটি একজন ইতালীয় শেয়ার করেছেন। বিদেশী আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এটা সত্যি কি না। দেখার পর আমি বললাম এটা সত্যি। বিদেশী জিজ্ঞেস করলেন তাহলে কেন চিন এত টাকা বিদেশে দান করল, আমি উত্তর দিতে পারলাম না।)
২০২০–র একটি ফেসবুক ( Facebook) পোস্টে ভাইরাল ভিডিওটি চিনের আতুলিয়ারের ক্লিফ শহরের সিচুয়ান অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। অন্যরা যারা ২০২০ সালে একই ভিডিও ( video) পোস্ট করেছেন, তাঁরা উল্লেখ করেছেন যে এটি এই বিচ্ছিন্ন চিনা ( Chinese ) সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের কষ্ট প্রদর্শন করেছে।
৫ জুলাই, ২০১৯ তারিখে চিনের রাষ্ট্র-চালিত মিডিয়া সংস্থা চায়না সিনহুয়া নিউজের ফেসবুক ( Facebook ) পৃষ্ঠায় আরেকটি ভিডিও ভাইরাল ভিডিও থেকে কয়েকটি শট অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়: “চিনের সিচুয়ানে ‘ক্লিফ ভিলেজ’–এ বসবাসকারী মানুষেরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পাহাড়ে চড়ে আসছেন। ৮০০-মিটার আরোহণ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে একটি স্টিলের মইয়ের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে সহজ হয়েছে।” ভাইরাল ভিডিওতে যে দীর্ঘ সিঁড়িটি দেখা যেতে পারে তার পরে ২০২০ সালে চায়না প্লাস কালচার–এর পোস্ট করা ( posted ) একটি ভিন্ন ছবিতে শুধুমাত্র হাত দিয়ে একটি পাহাড়ে চড়ার আরও ক্লিপ দেখা যায়। এই পোস্টে উল্লেখ করা স্থান ছিল চিনের সিচুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান ই স্বায়ত্তশাসিত প্রিফেকচারের আতুলিয়ের গ্রাম।
অক্টোবর ২৬, ২০১৬-র একটি সিএনএন সংবাদ নিবন্ধে ( CNN news article) একটি ইস্পাতের মই বর্ণনা করা হয়েছিল যা একটি চিনা পার্বত্য সম্প্রদায়কে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করে। নিবন্ধ অনুসারে, গ্রামটি আগস্ট ২০১৬ সালে এক মিলিয়ন ইউয়ান ($১৪৭,৯২৮) ব্যয়ে সিঁড়ি তৈরি করা শুরু করে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সরকার পরিচালিত বেজিং নিউজ একটি ভয়ঙ্কর ছবি প্রকাশ করার পর, যাতে দেখা যায় প্রায় ১৫ জন স্কুলছাত্র, যাদের মধ্যে কিছু ছয় বছরের কম বয়সী, নীচের উপত্যকায় তাদের স্কুলে যাওয়ার জন্য একটি নড়বড়ে লতা–সিঁড়ি বেয়ে উঠার চেষ্টা করছে। ছবিটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়টিকে অনলাইনে সুপরিচিত করে তুলেছে।
সুতরাং, এটি স্পষ্ট যে একটি প্রত্যন্ত চিনা গ্রামের একটি ভিডিও অরুণাচল প্রদেশের বলে মিথ্যাভাবে শেয়ার করা হয়েছে।

